Durga Saptashati Image

শ্রীদুর্গামানস পূজা

উদ্যচ্চন্দনকুন্ধুমারুণপয়োধারাভিরাপ্লাবিতাং
নানানঘ্যমণিপ্রবালঘটিতাং দত্তাং গৃহাণাম্বিকে।
আমৃষ্টাং সুরসুন্দরীভিরভিতো হস্তাম্বুজৈর্ভক্তিতো
মাতঃ সুন্দরি ভক্তকল্পলতিকে শ্রীপাদুকামাদরাৎ৷৷ ১ ৷৷

হে মাতা ত্রিপুরসুন্দরি! ভক্তমনবাঞ্ছাপূরণকারিণী তুমি কল্পলতা। মা! এই শ্রীপাদুকা ভক্তিপূর্বক তোমার শ্রীচরণে সমর্পিত হয়েছে, তুমি গ্রহণ করো। এই পাদুকা উত্তম চন্দন ও কুঙ্কুমলিপ্ত মিলিত লাল জলধারায় ধৌত, তুমি ইহা গ্রহণ করো। নানারকম বহুমূল্য মণিমাণিক্য দিয়ে এটি রচিত করা হয়েছে, অনেক দেবাঙ্গনাদের করকমলদ্বারা ভক্তিপূর্বক সাদরে সম্পূর্ণ পরিষ্কার করে নির্মল করা হয়েছে ।। ১৷৷

দেবেন্দ্রাদিভিরর্চিতং সুরগণৈরাদায় সিংহাসনং
চঞ্চৎকাঞ্চনসংচয়াভিরচিতং চারুপ্রভাভাস্বরম্।
এতচ্চম্পককেতকীপরিমলং তৈলং মহানির্মলং
গন্ধোদ্বর্তনমাদরেণ তরুণীদত্তং গৃহাণাম্বিকে৷ ২৷

মা! তোমার বসবার জন্য দেবতারা এই দিব্য সিংহাসন এখানে রেখেছেন, তুমি এর ওপর বসো। এই সিংহাসনকে দেবরাজ ইন্দ্রাদিও পূজা করেন। নিজ কান্তিতে উদ্‌ভাসিত রাশি রাশি সুবর্ণ দিয়ে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। আপন মনোহর প্রভায় এটি সর্বদা প্রকাশিত থাকে। এছাড়া, চাঁপা ও কেতকীর সুগন্ধে পূর্ণ অত্যন্ত নির্মল তেল আর সুগন্ধি মিশ্রণের বিলেপনে বিলেপিত এই সিংহাসন, দিব্য যুবতীরা অতি যত্ন করে তোমার সেবার জন্য প্রস্তুত করেছে, কৃপা করে এটি গ্রহণ করো।। ২।

পশ্চাদ্‌দেবি গৃহাণ শম্ভুগৃহিনি শ্রীসুন্দরি প্রায়শো
গন্ধদ্রব্যসমূহনির্ভরতরং ধাত্রীফলং নির্মলম্।
তৎকেশান্ পরিশোধ্য কঙ্কতিকয়া মন্দাকিনীস্রোতসি
স্নাত্বা প্রোজ্জ্বলগন্ধকং ভবতু হে শ্রীসুন্দরি ত্বম্মুদে। ৩ ৷৷

হে দেবি! এরপর তুমি এই আমলকী ফলটি গ্রহণ করো। হে শিবপ্রিয়ে! ত্রিপুরসুন্দরি! যত কিছু সগন্ধি এই সংসারে আছে, সবই এই আমলকীতে আছে যার ফলে এইটি এতই সুগন্ধিত হয়েছে। কাজেই চুলের মধ্যে এটি লাগিয়ে চুলটা কঙ্কতিকা দ্বারা (কাঁকুই চিরুণী দিয়ে) আচঁড়ে পবিত্র গঙ্গায় গিয়ে স্নান করে এসো। তারপর এই দিব্য গন্ধ তোমার জন্য প্রস্তুত করা রইল, এই গন্ধ তোমার আনন্দবর্দ্ধন করবে।। ৩ ।।

সুরাধিপতিকামিনীকরসরোজনালীধৃতাং
সচন্দনসকুক্কুমাগুরুভরেণ বিভ্রাজিতাম্।
মহাপরিমলোজ্জ্বলাং সরসশুদ্ধকস্তুরিকাং
গৃহাণ বরদায়িনি ত্রিপুরসুন্দরি শ্রীপ্রদে। ৪ ॥

সর্বসম্পদায়িনী বরদা ত্রিপুরসুন্দরি! এই সরস শুদ্ধ কস্তুরী গ্রহণ করো। দেবরাজ ইন্দ্রের পত্নী শচীদেবী স্বয়ং এইটি নিজের হাতে নিয়ে তোমার সেবার জন্য অপেক্ষা করছে। এর মধ্যে চন্দন, কুঙ্কুম ও অগুরু একত্র হওয়াতে এর শোভা আরও বেড়ে গেছে। এর থেকে অতি সুন্দর গন্ধ নির্গত হওয়ায় এটি বড়ই মনোহর দেখাচ্ছে। ৪ ।।

গন্ধর্বামরকিন্নরপ্রিয়তমাসংতানহস্তাম্বুজ-
প্রস্তারৈপ্রিয়মাণমুত্তমতরং কাশ্মীরজাপিঞ্জরম্।
মাতর্ভাস্বরভানুমণ্ডললসৎকান্তিপ্রদানোজ্জ্বলং
চৈতন্নির্মলমাতনোতু বসনং শ্রীসুন্দরি ত্বম্মুদম্ ॥ ৫ ৷৷

মা শ্রীসুন্দরি! এই পরম উত্তম পবিত্র বস্ত্র তোমার সেবায় নিবেদিত হয়েছে, এটি তোমার হর্ষবৃদ্ধি করবে। মাতঃ! গন্ধর্ব, দেবতা তথা কিন্নরদের প্রেয়সী সুন্দরীরা নিজেদের প্রসারিত করকমলে এই বস্ত্র নিয়ে তোমার জন্য অপেক্ষা করছে। এই বস্ত্র কেশরের রংয়ে রঞ্জিত পীতাম্বর। এই বস্ত্র থেকে পরম প্রকাশমান সূর্যমণ্ডলের শোভাময়ী দিব্য কান্তি বিচ্ছুরিত হচ্ছে আর তাতে এই বস্ত্র অতীব সুশোভিত হয়েছে।। ৫ ।।

স্বর্ণাকল্পিতকুণ্ডলে শ্রুতিযুগে হস্তাম্বুজে মুদ্রিকা
মধ্যে সারসনা নিতম্বফলকে মঞ্জীরমস্ত্রিদ্বয়ে।
হারো বক্ষসি কঙ্কণৌ কণরণৎকারৌ করদ্বন্দ্বকে
বিন্যস্তং মুকুটং শিরস্যনুদিনং দত্তোম্মদং স্থয়তাম্। ৬ ৷৷

তোমার দুই কর্ণে স্বর্ণকুণ্ডল ঝিলমিল করছে, করকমলের এক আঙ্গুলে অঙ্গুরীয় শোভা পাচ্ছে, কটিদেশে নিতম্বের ওপর কাঞ্চী (করধনী) শোভিত রয়েছে, দুটি চরণকমলে নূপুর রিমঝিম বাজছে, বক্ষদেশে সুন্দর হার দোদুল্যমান আর দুই কবজিতে কঙ্কণ ঝনঝন্ করছে। তোমার মস্তকে স্থিত দিব্য মুকুট প্রতিদিন আনন্দ-প্রদানকারী হোক। এই সব অলঙ্কারই প্রশংসাযোগ্য সুন্দর ।। ৬ ৷৷

গ্রীবায়াং ধৃতকান্তিকান্তপটলং গ্রৈবেয়কং সুন্দরং
সিন্দুরং বিলসল্ললাটফলকে সৌন্দর্যমুদ্রাধরম্।
রাজৎকজ্জলমুজ্জ্বলোৎপলদলশ্রীমোচনে লোচনে
তদ্দিব্যৌষধিনির্মিতং রচয়তু শ্রীশান্তবি শ্রীপ্রদে। ৭ ॥

হে ধনদায়িনী শিবপ্রিয়া পার্বতি! তোমার গলায় এই অপূর্ব ঝক্সকে কণ্ঠভূষা হাঁসুলীটি পরে নাও, ললাটমধ্যে সৌন্দর্যের প্রতীকচিহ্ন সিন্দূরের টিপ লাগাও তথা অতীব সুন্দর পদ্মকোরকের লজ্জাদায়ী তোমার চোখে এই কাজলও লাগাও। এই কাজল দিব্য ওষধি দিয়ে প্রস্তুত হয়েছে।। ৭ ।।

অমন্দতরমন্দরোন্মথিতদুগ্ধসিন্ধুপ্তবং
নিশাকরকরোপমং ত্রিপুরসুন্দরি শ্রীপ্রদে।
গৃহাণ মুখমীক্ষিতুং মুকুরবিম্বমাবিদ্রুমৈ-
বিনির্মিতমঘচ্ছিদে রতিকরাম্বুজস্থায়িনম্।। ৮ ॥

পাপনাশিনী সম্পদদায়িনী ত্রিপুরসুন্দরি! নিজের চন্দ্রবদন বিম্বিত করার জন্য এই দর্পণ গ্রহণ করো। রতিদেবী স্বয়ং এই দর্পণ হাতে নিয়ে তোমাকে দেবার জন্য অপেক্ষমাণ। এই দর্পণের চারিদকে মুঙ্গ লেপন করা রয়েছে। ক্ষীরসমুদ্র মন্থনের সময় দুরন্তবেগে ঘূর্ণিত মন্দার পর্বতের মন্থনে এই দর্পণ উঠে এসেছিল। চন্দ্রের কিরণের মতো উজ্জ্বল এই দর্পণ। ৮ ।।

কস্তুরীদ্রবচন্দনাগুরুসুধাধারাভিরাপ্লাবিতং
চঞ্চচ্চম্পকপাটলাদিসুরভিদ্রব্যৈঃ সুগন্ধীকৃতম্।
দেবস্ত্রীগণমস্তকস্থিতমহারত্নাদিকুম্ভব্রজৈ-
রম্ভঃশান্তবি সংভ্রমেণ বিমলং দত্তং গৃহাণাম্বিকে ৷ ৯ ॥

হে শিবধর্মপত্নী পার্বতী দেবি! দেবাঙ্গনাদের মাথায় রাখা মহামূল্য রত্নময় কলসে স্থিত এই পবিত্র জল শীঘ্র গ্রহণ করো। এই জল চম্পা ও গুগুলাদি সুগন্ধি দ্রব্যে সুবাসিত করা হয়েছে আর কস্তুরীরস, চন্দন, অগুরু এবং সুধার ধারায় এই জল মিশ্রিত করা হয়েছে।। ৯।।

কহ্লারোৎপলনাগকেসরসরোজাখ্যাবলীমালতী-
মল্লীকৈরবকেতকাদিকুসুমৈ রক্তাশ্বমারাদিভিঃ।
পুষ্পৈমাল্যভরেণ বৈ সুরভিণা নানারসস্রোতসা
তাম্রাম্ভোজনিবাসিনীং ভগবতীং শ্রীচণ্ডিকাং পূজয়ে৷ ১০ ৷৷

কহ্লার, উৎপল, নাগকেশর, পদ্ম, মালতী, মল্লিকা, কুমুদ, কেতকী ও রক্তকনেরাদি পুষ্প দিয়ে, সুগন্ধি পুষ্পমাল্য দিয়ে এবং নানাপ্রকার রসধারা দিয়ে রক্তপদ্মে আসীনা শ্রীচণ্ডিকা দেবীর আমি পূজা করছি।। ১০ ৷৷

মাংসীগুগ্‌গুলচন্দনাগুরুরজঃ কপূরশৈলেয়জৈ-
মাধবীকৈঃ সহ কুঙ্কুমৈঃ সুরচিতৈঃ সর্পির্ভিরামিশ্রিতৈঃ।
সৌরভ্যস্থিতিমন্দিরে মণিময়ে পাত্রে ভবেৎ প্রীতয়ে
ধূপোহয়ং সুরকামিনীবিরচিতঃ শ্রীচণ্ডিকে ত্বম্মুদে। ১১ ৷৷

মাতা শ্রীচণ্ডিকে! দেববধূদের দ্বারা নির্মিত এই দিব্য ধূপ তোমার প্রসন্নতাবর্ধনকারী হোক। এই ধূপ রত্নময় সুবাসিত আধারে রাখা হয়েছে; এই ধূপ তোমার সন্তোষপ্রদায়িনী। এটি জটামাংসী, গুগুল, চন্দন, অগুরুচূর্ণ, কপূর, শিলাজীত, মধু, কুক্কুম ও ঘী একত্রিত করে উত্তম রীতিতে প্রস্তুত করা হয়েছে।। ১১ ।।

ঘৃতদ্রবপরিস্ফুরদ্রুচির রত্নযষ্ট্যান্বিতো
মহাতিমিরনাশনঃ সুরনিতম্বিনীনির্মিতঃ।
সুবর্ণচষকস্থিতঃ সঘনসারবত্যান্বিত-
স্তব ত্রিপুরসুন্দরি স্ফুরতি দেবি দীপো মুদে৷৷ ১২ ৷৷

হে দেবী ত্রিপুরসুন্দরি! তোমাকে প্রসন্ন করার জন্য এখানে এই দীপ প্রজ্বলিত রয়েছে। ধৃত দিয়ে এই দীপ জ্বালান হয়েছে; এই দীপের নীচে দেবাঙ্গনাদের দ্বারা নির্মিত রত্নদণ্ড লাগান হয়েছে। সুবর্ণপাত্রে জ্বালান হয়েছে। এর মধ্যে কপূরের বাতিও রাখা হয়েছে। ভীষণতম অন্ধকারকেও এই দীপ দূর করে দেয়।। ১২ ৷৷

জাতীসৌরভনির্ভরং রুচিকরং শাল্যোদনং নির্মলং
যুক্তং হিঙ্গুমরীচজীরসুরভিদ্রব্যাম্বিত্যৈঞ্জনৈঃ।
পক্কান্নেন সপায়সেন মধুনা দধ্যাজ্যসম্মিশ্রিতং
নৈবেদ্যং সুরকামিনীবিরচিতং শ্রীচণ্ডিকে ত্বম্মুদে। ১৩ ৷৷

হে শ্রীচণ্ডিকে দেবি! তোমার প্রসন্নতার জন্য দেববধূরা ভোগ, নৈবেদ্য সাজিয়েছে। এই ভোগনৈবেদ্য শালী ধানের চালে শুদ্ধ রুচিকর, চামেলীর গন্ধে সুবাসিত অন্নের সাথে জিরা, লঙ্কা, হলুদ, ধনে ইত্যাদি মশলা দিয়ে নানাবিধ ব্যঞ্জনও রয়েছে, যার মধ্যে দুধ, মধু, দই ও ঘি যথোপযুক্তভাবে দেওয়া হয়েছে।। ১৩ ৷৷

লবঙ্গকলিকোজ্জ্বলং বহুলনাগবল্লীদলং
সজাতিফলকোমলং সঘনসারপূগীফলম্।
সুধামধুরিমাকুলং রুচিররত্নপাত্রন্থিতং
গৃহাণ মুখপঙ্কজে স্ফুরিতমম্ব তাম্বুলকম্ ॥ ১৪৷৷

মা! সুন্দর রত্নখচিত পাত্রে দিব্য তাম্বুল সুসজ্জিত করা হয়েছে, তুমি অনুগ্রহ করে এই তাম্বুল মুখে দাও। লবঙ্গ দিয়ে এই পানের খিলি আটকান হয়েছে, ফলে ইহা অতীব সুন্দর দেখতে হয়েছে। এই পানের খিলিতে অনেক পানাক্ষপাতা, নরম জৈত্রী, কপূর ও সুপারী দেওয়া হয়েছে। এই তাম্বুল সুধামাধুর্যে পরিপূর্ণ। ১৪ ৷৷

শরৎপ্রভবচন্দ্রমঃস্ফুরিতচন্দ্রিকাসুন্দরং
গলৎসুরতরঙ্গিণীললিতমৌক্তিকাড়ম্বরম্ ।
গৃহাণ নবকাঞ্চনপ্রভবদণ্ডখণ্ডোজ্জ্বলং
মহাত্রিপুরসুন্দরি প্রকটমাতপত্রং মহৎ৷৷ ১৫ ৷৷

হে মহাত্রিপুরসুন্দরী মাতা পার্বতি! এই দিব্য বিশাল ছত্র রাখা হয়েছে, দয়া করে এটা গ্রহণ করো। শারদপূর্ণিমার অমৃতবর্ষী সুধার মতো এই ছত্র সুন্দর। এই ছাতায় মুক্তার ঝালর দেখে মনে হয় যেন দেবনদী গঙ্গার স্রোত উপর থেকে নীচে পড়ছে। সুবর্ণময় দণ্ডের কারণ এই ছত্র অপূর্ব মনোরম দর্শনধারী ৷৷ ১৫ ৷৷

মাতত্ত্বম্মুদমাতনোতু সুভগস্ত্রীভিঃ সদাহহন্দোলিতং
শুভ্রং চামরমিন্দুকুন্দসদৃশং প্রস্বেদদুঃখাপহম্।
সদ্যোহগস্ত্যবসিষ্ঠনারদশুকব্যাসাদিবাল্মীকিভিঃ
স্বে চিত্তে ক্রিয়মাণ এব কুরুতাং শর্মাণি বেদধ্বনিঃ৷৷ ১৬৷

মা! সুন্দরী নারীদের হাতে নিরন্তর ব্যজনিত চন্দ্র ও কুন্দফুলের মতো উজ্জ্বল ও স্বেদনিবারক এই শ্বেত চামর তোমার আনন্দ বর্দ্ধন করবে। এছাড়া মহর্ষি অগস্ত্য, বসিষ্ঠ, নারদ, শুকদেব, ব্যাসাদি তথা বাল্মকী মুনি নিজেদের মনে যে সব বেদমন্ত্র উচ্চারণ করেন, তাদের সেই মানস সংকল্পিত বেদধ্বনি তোমার আনন্দ বৃদ্ধি করুক। ১৬ ৷৷

স্বর্গাঙ্গণে বেণুমৃদঙ্গশঙ্খভেরীনিনাদৈরুপগীয়মানা।
কোলাহলৈরাকলিতা তবাস্তু বিদ্যাধরীনৃত্যকলা সুখায়। ১৭৷৷

স্বর্গের আঙ্গিনায় বেণু, মৃদঙ্গ, শঙ্খ ও ভেরীর মধুর ধ্বনির মধ্যে যে সুর বাজে আবার এদের সমবেত কলতানে যে শব্দ ব্যাপ্ত হয়, সেই সবের তালে ছন্দে বিদ্যাধরীদের প্রদর্শিত নৃত্যকলা তোমার সুখবৃদ্ধি করুক । ১৭ ৷৷

দেবি ভক্তিরসভাবিতবৃত্তে প্রীয়তাং যদি কুতোহপি লভ্যতে।
তত্র লৌল্যমপি সৎফলমেকং জন্মকোটিভিরপীহ ন লভ্যম্৷ ১৮ ॥

হে দেবি! তোমার ভক্তিরসে ভাবিত এই ছন্দময় স্তোত্রে যদি কোথাও কোনও ভক্তির লেশও পাও, তবে তুমি তাতেই প্রসন্ন হও। মা! তোমার প্রতি ভক্তির উদ্রেকের জন্য মনের মধ্যে যে আকুলতা হয়, সেটাই জীবনের একমাত্র সার্থকতা। এই আকুলতা কোটি কোটি বার জন্মগ্রহণ করলেও তোমার কৃপা বিনা সুলভ হয় না৷৷ ১৮ ৷৷

এতৈঃ ষোড়শভিঃ পদ্যৈরূপচারোপকল্পিতৈঃ।
যঃ পরাং দেবতাং স্তৌতি স তেষাং ফলমাপুয়াৎ৷ ১৯ ৷৷

এই উপচার কল্পিত ষোলটা শ্লোকে পরাশক্তি ভগবতী ত্রিপুরসুন্দরীকে যে স্তব করে, সে এইসব উপচার সমর্পণের ফল লাভ করে। ১৯ ৷৷