অথ বৈকৃতিকং রহস্যম্
বৈকৃতিক রহস্য
ঋষিরুবাচ
ওঁ ত্রিগুণা তামসী দেবী সাত্ত্বিকী যা ত্রিখোদিতা। সা শর্বা চণ্ডিকা দুর্গা ভদ্রা ভগবতীর্যতে৷৷ ১ ৷৷
ঋষি বললেন-হে রাজন! পূর্বে সত্ত্বগুণপ্রধানা ত্রিগুণাত্মিকা যেই মহালক্ষ্মী তামসী ইত্যাদি রূপ অনুসারে তিন স্বরূপের কথা বলা হয়েছে, তিনিই শর্বা, চণ্ডিকা, দুর্গা, ভদ্রা ও ভগবতী ইত্যাদি বিভিন্ন নামে অভিহিতা হন।। ১ ৷৷
যোগনিদ্রা হরেরুক্তা মহাকালী তমোগুণা। মধুকৈটভনাশার্থং যাং তুষ্টাবাম্বুজাসনঃ ৷৷ ২৷৷
তমোগুণী মহাকালীকে ভগবান বিষ্ণুর যোগনিদ্রা বলা হয়, মধু ও কৈটভকে বিনাশের উদ্দেশ্যে ব্রহ্মা যাঁর স্তুতি করেছিলেন, তিনিই মহাকালী। ২ ৷৷
দশবা দশভুজা দশপাদাঞ্জনপ্রভা। বিশালয়া রাজমানা ত্রিংশল্পোচনমালয়া৷৷ ৩ ৷৷
তাঁর দশ মুখ, দশহস্ত ও দশপদ। ইনি কাজলের মতো কৃষ্ণবর্ণা এবং ত্রিশটী নয়নমালার সহিত বিরাজিতা। ৩ ।।
স্ফুরদ্দশনদংষ্ট্রা সা ভীমরূপাপি ভূমিপ। রূপসৌভাগ্যকান্তীনাং সা প্রতিষ্ঠা মহাশ্রিয়ঃ। ৪ ৷৷
হে ভূপাল! সুন্দর ও উজ্জ্বল দন্তযুক্তা যদিও, তাঁর রূপ ভয়ঙ্কর, তথাপি তিনি রূপ, সৌভাগ্য, শান্তি এবং মহা-শ্রীর আশ্রয়।। ৪ ।।
খড়া-বাণ-গদা-শূল-শঙ্খ-চক্র-ভুশুণ্ডিতৃৎ। পরিঘং কার্মকং শীর্ষং নিশ্চ্যোতদ্রুধিরং দধৌ৷৷ ৫ ৷৷
তাঁর হাতে খড়া, বাণ, গদা, শূল, শঙ্খ, চক্র, ভুশুণ্ডি, পরিঘ, ধনুক ও রক্তক্ষরণশীল কাটা মুণ্ড। ৫ ॥
এষা সা বৈষ্ণবী মায়া মহাকালী দূরত্যয়া। আরাধিতা বশীকুর্যাৎ পূজাকর্তৃশ্চরাচরম্।। ৬।।
এই মহাকালী ভগবান বিষ্ণুর দুরত্যয়া মায়াশক্তি। ইনি আরাধিতা হলে চরাচর জগৎকে নিজের ভক্তের অধীন করে দেন।। ৬।
সর্বদেবশরীরেভ্যো যাহহবির্ভূতামিতপ্রভা। ত্রিগুণা সা মহালক্ষ্মীঃ সাক্ষান্মহিষমর্দিনী।। ৭ ॥
সব দেবতাদের অঙ্গ থেকে যাঁর উৎপত্তি হয়েছিল, তিনি অনন্ত কান্তিযুক্তা সাক্ষাৎ মহালক্ষ্মী, তিনিই ত্রিগুণময়ী প্রকৃতিরূপে পরিচিতা, তিনিই মহিষাসুরমর্দিনী।। ৭ ।।
শ্বেতাননা নীলভুজা রক্তমধ্যা রক্তপাদা সুশ্বেতস্তনমণ্ডলা। নীলজঙ্ঘোরুরুন্মদা।। ৮।
তিনি শ্বেতাননা, নীলহস্তা। তাঁর স্তনমণ্ডল অত্যন্ত শ্বেতবর্ণা, কটিদেশ ও চরণযুগল রক্তবর্ণ এবং জঙ্ঘা ও উরু নীলবর্ণ। তিনি অজেয়া, তাই নিজ শৌর্যে উন্মাদিনী ।। ৮ ।।
সুচিত্রজঘনা চিত্রানুলেপনা চিত্রমাল্যাম্বরবিভূষণা। কান্তি-রূপ-সৌভাগ্য-শালিনী৷৷ ৯ ৷৷
কটির উপরিভাগ নানাবর্ণে রঞ্জিত, বস্ত্রে আচ্ছাদিত হওয়াতে অপরূপ রূপশোভিতা। তাঁর মালা, বস্ত্র, আভূষণ ও অঙ্গরাগ সবই বিচিত্র। তিনি কান্তি, রূপ ও সৌভাগ্য- মণ্ডিতা।। ৯ ।।
অষ্টাদশভুজা পূজ্যা সা সহস্রভুজা সতী। আয়ুধান্যত্র বক্ষ্যন্তে দক্ষিণাধঃকরক্রমাৎ।৷৷ ১০ ৷৷
যদিও তিনি সহস্রভুজা, তথাপি অষ্টাদশভুজারূপে পূজ্যা। তাঁর ডানদিকের নীচের হাত থেকে পরের হাত এবং বাঁ দিকের উপরের হাত থেকে নীচের হাত পর্যন্ত আয়ুধের বর্ণনা এখানে করা হচ্ছে ৷৷ ১০ ॥
অক্ষমালা চ কমলং বাণোহসিঃ কুলিশং গদা। চক্রং ত্রিশূলং পরশুঃ শঙ্খো ঘণ্টা চ পাশকঃ ৷৷ ১১৷৷
শক্তির্দণ্ডশ্চর্ম চাপং পানপাত্রং কমণ্ডলুঃ। অলঙ্কৃতভুজামেভিরায়ুধৈঃ কমলাসনাম্।। ১২৷৷
সর্বদেবময়ীমীশাং মহালক্ষ্মীমিমাং নৃপ। পূজয়েৎ সর্বলোকানাং স দেবানাং প্রভুর্ভবেৎ৷৷ ১৩ ৷৷
অক্ষমালা, কমল, বাণ, খড়া, বজ্র, গদা, চক্র, ত্রিশূল, পরশু, শঙ্খ, ঘণ্টা, পাশ, শক্তি, দণ্ড, চর্ম (ঢাল), ধনুক, পানপাত্র ও কমণ্ডলু-এই আঠারটি আয়ুধে তাঁর হস্তগুলি বিভূষিত। তিনি কমলাসনে বিরাজিতা, তিনি সর্বদেবময়ী ঈশ্বরী। হে রাজন, এই মহালক্ষ্মী দেবীকে যে পূজা করে, সে সর্বলোকের ও দেবগণের প্রভু হন।। ১১-১৩।
গৌরীদেহাৎ সমুদ্ভূতা যা সত্ত্বৈকগুণাশ্রয়া। সাক্ষাৎ সরস্বতী প্রোক্তা শুম্ভাসুর-নিবর্হিণী৷৷ ১৪৷৷
যে সত্ত্বগুণময়ী দেবী পার্বতীর শরীর থেকে সমুতা হয়েছিলেন এবং যিনি শুম্ভ-নামক দৈত্যকে নিধন করেন, তাঁকে সাক্ষাৎ সরস্বতী বলা হয়। ১৪ ৷৷
দখৌ চাষ্টভুজা বাণমুসলে শূলচক্রভৃৎ। শঙ্খং ঘণ্টাং লাঙ্গলঞ্চ কার্মকং বসুধাধিপ৷৷ ১৫৷
হে পৃথিবীপতে! ইনি অষ্টভুজা এবং তিনি এই আট হাতে ক্রমশঃ বাণ, মুসল, শূল, চক্র, শঙ্খ, ঘণ্টা, লাঙ্গল ও ধনুক ধরে রয়েছেন।। ১৫ ।।
এষা সম্পূজিতা ভক্ত্যা সর্বজ্ঞত্বং প্রযচ্ছতি। নিশুম্ভমথিনী দেবী শুম্ভাসুরনিবর্হিণী৷৷ ১৬৷৷
নিশুম্ভমর্দিনী শুম্ভাসুরনাশিনী দেবী ভক্তিপূর্বক পূজিতা হলে তিনি সর্বজ্ঞত্ব প্রদান করেন।। ১৬।।
ইত্যুক্তানি স্বরূপাণি মূর্তীনাং তব পার্থিব। উপাসনং জগন্মাতুঃ পৃথগাসাং নিশাময়।। ১৭৷৷
হে নৃপ! এইভাবে মহাকালী ইত্যাদি তিন মূর্তির স্বরূপ তোমাকে বলা হল, এইবার জগন্মাতা মহালক্ষ্মী তথা এই মহাকালী আদি তিন মূর্তির পৃথক পৃথক উপাসনা শ্রবণ করো।। ১৭ ।। ।
মহালক্ষ্মীর্যদা পূজ্যা মহাকালী সরস্বতী। দক্ষিণোত্তরয়োঃ পূজ্যে পৃষ্ঠতো মিথুনত্রয়ম্।। ১৮ ৷৷
যখন মহালক্ষ্মীর পূজা করবে, তখন তাঁকে মধ্যে স্থাপিত করে দক্ষিণে বা বামে যথাক্রমে মহাকালী ও মহাসরস্বতীকে পূজা করবে এবং পৃষ্ঠভাগে (পশ্চাতে) যুগল-মূর্তি রূপে তিন দেবতার পূজা করবে। ১৮ ।।
বিরিঞ্চিঃ স্বরয়া মধ্যে রুদ্রো গৌর্যা চ দক্ষিণে। বামে লক্ষ্ম্যা হৃষীকেশঃ পুরতো দেবতাত্রয়ম্। ১৯ ৷৷
মহালক্ষ্মীর ঠিক পেছনে মধ্যভাগে সরস্বতীর সাথে ব্রহ্মার পূজা করবে। তাঁর ডান দিকে গৌরীর সাথে রুদ্রের পূজা করবে তথা বামদিকে লক্ষ্মীর সঙ্গে বিষ্ণুর পূজা করবে। মহালক্ষ্মী প্রভৃতি তিন দেবীর সামনে নিম্ন লিখিত তিন দেবীরও পূজা করা উচিত ॥১৯।।
অষ্টাদশভুজা মধ্যে বামে চাস্যা দশাননা। দক্ষিণেহষ্টভুজা লক্ষ্মীমহতীতি সমর্চয়েৎ ৷৷ ২০৷৷
মধ্যস্থ মহালক্ষ্মীর আগে মধ্যভাগে অষ্টাদশভুজা মহালক্ষ্মীর পূজা করবে। তাঁর বামদিকে দশাননা মহাকালী তথা ডানদিকে অষ্টভুজা মহাসরস্বতীর পূজা করবে। ২০ ॥
অষ্টাদশভুজা চৈষা যদা পূজ্যা নরাধিপ। দশাননা চাষ্টভুজা দক্ষিণোত্তরয়োন্তদা।। ২১ ৷৷
কালমৃত্যু চ সম্পূজ্যৌ সর্বারিষ্টপ্রশান্তয়ে। যদা চাষ্টভুজা পূজ্যা শুম্ভাসুরনিবর্হিণী।২২৷
নবাস্যাঃ শক্তয়ঃ পূজ্যান্তদা রুদ্রবিনায়কৌ। নমো দেব্যা ইতি স্তোত্রৈমহালক্ষ্মীং সমর্চয়েৎ।। ২৩ ৷৷
হে রাজন! যখন কেবলমাত্র অষ্টাদশভুজা মহালক্ষ্মী অথবা দশাননা কালী বা অষ্টভুজা সরস্বতীর পূজা করবে, তখন সমস্ত অরিষ্ট (বিঘ্ন) প্রশান্তির জন্য তাঁর ডানদিকে কালের এবং বামদিকে মৃত্যুরও ভালভাবে পূজা করবে। যখন শুম্ভাসুরনাশিনী অষ্টভুজা দেবীর পূজা করবে, তখন তাঁর সাথে তাঁর নবশক্তির আর ডানদিকে রুদ্র এবং বামদিকে গণেশেরও পূজা করবে (ব্রাহ্মী, মাহেশ্বরী, কৌমারী, বৈষ্ণবী, বারাহী, নারসিংহী, ঐন্দ্রী, শিবদূতী ও চামুণ্ডা- এই হল নবশক্তি)। 'নমো দেব্যৈ.............' এই স্তোত্রে মহালক্ষ্মীর পূজা করবে। ২১-২৩
অবতারত্রয়ার্চায়াং স্তোত্রমন্ত্রান্তদাশ্রয়াঃ। অষ্টাদশভুজা চৈষা পূজ্যা মহিষমর্দিনী৷৷ ২৪ ৷৷
মহালক্ষ্মীমহাকালী সৈব প্রোক্তা সরস্বতী। ঈশ্বরী পুণ্যপাপানাং সর্বলোকমহেশ্বরী।। ২৫ ৷৷
দেবীর তিন অবতারের পূজার সময় সেই সেই চরিত্রের যেই যেই স্তোত্র আর মন্ত্র আছে তার যথাযুক্ত প্রয়োগ করবে। অষ্টাদশভুজা মহিষাসুরমর্দিনী মহালক্ষ্মীও বিশেষরূপে পূজনীয়া। কারণ তিনিই মহালক্ষ্মী, মহাকালী ও মহাসরস্বতীরূপে খ্যাতা। তিনিই পাপপুণ্যের ফলদাত্রী ও সর্বলোকের মহেশ্বরী। ২৪-২৫ ৷৷
মহিষান্তকরী যেন পূজিতা স জগৎপ্রভুঃ। পূজয়েজ্জগতাং ধাত্রীং চণ্ডিকাং ভক্তবৎসলাম্৷ ২৬৷৷
মহিষাসুর নাশিনী মহালক্ষ্মীকে যে ভক্তিভরে পূজা করে, সে সংসারের প্রভুত্ব লাভ করে। অতএব জগদ্ধাত্রী ভক্তবৎসলা ভগবতী চণ্ডিকাকে অবশ্যই পূজা করবে। ২৬।
অর্থ্যাদিভিরলঙ্কারৈর্গন্ধপুষ্পস্তথাক্ষতৈঃ। ধূপৈর্দীপৈশ্চ নৈবেদ্যের্নানাভক্ষ্যসমন্বিতৈঃ ৷৷ ২৭ ৷৷
রুধিরাজেন বলিনা মাংসেন সুরয়া নৃপ। বলিমাংসাদিপূজেয়ং বিপ্রবর্জ্যা ময়েরিতা।।
তেষাং কিল সুরামাংসৈর্বোক্তা পূজা নৃপ কচিৎ। প্রণামাচমনীয়েন চন্দনেন সুগন্ধিনা।। ২৮৷৷
সকপূরৈশ্চ তাম্বুলৈর্ভক্তিভাবসমন্বিতৈঃ। বামভাগে গ্রতো দেব্যাশ্ছিন্নশীর্ষং মহাসুরম্।। ২৯৷৷
পূজয়েন্মহিষং যেন প্রাপ্তং সাযুজ্যমীশয়া। দক্ষিণে পরতঃ সিংহং সমগ্রং ধর্মমীশ্বরম্ ।। ৩০ ৷৷
বাহনং পূজয়েদ্দেব্যা ধৃতং যেন চরাচরম্। কুর্যাচ্চ স্তবনং ধীমাংস্তস্যা একাগ্রমানসঃ ।। ৩১ ৷৷
ততঃ কৃতাঞ্জলির্ভূত্বা স্তুবীত চরিতৈরিমৈঃ। একেন বা মধ্যমেন নৈকেনেতরয়োরিহ।। ৩২ ৷৷
চরিতার্থং তু ন জপেজ্জপঞ্ছিদ্রমবাপুয়াৎ। প্রদক্ষিণা-নমস্কারান্ কৃত্বা মূর্রি কৃতাঞ্জলিঃ।। ৩৩ ৷৷
ক্ষমাপয়েজ্জগদ্ধাত্রীং মুহুর্মুহুরতন্দ্রিতঃ। প্রতিশ্লোকঞ্চ জুহুয়াৎ পায়সং তিলসপিষা৷৷ ৩৪ ৷৷
অর্থ্যাদি, অলঙ্কারাদি, গন্ধ, পুষ্প, আতপচাল, ধূপ, দীপ ও নানা আহার্য সমন্বিত নৈবেদ্যাদি, রক্তসিঞ্চিত বলি, মাংস তথা মদিরা দিয়েও দেবীর পূজা হয়। (১) (হে রাজন! বলি এবং মাংস ইত্যাদি দিয়ে পূজা অব্রাহ্মণদের জন্য বলা হয়েছে। অন্যান্যদের জন্য মদ ও মাংস দিয়ে পূজার বিধান কোথাও নেই।) প্রণাম, আচমনীয়, সুগন্ধি চন্দন, কপূরযুক্ত তাম্বুলাদি উপচার দিয়ে ভক্তিভাবে দেবীর পূজা করবে। দেবীর সামনে বাম দিকে দেবীর সাযুজ্যপ্রাপ্ত ছিন্নশির মহাদৈত্য মহিষাসুরের পূজা করবে। এইভাবে দেবীর সামনে ডানদিকে তাঁর বাহন সিংহের পূজা করবে। এই সিংহ সর্ব ধর্মের প্রতীক এবং ষড়ৈশ্বর্যযুক্ত হয়ে এই চরাচর জগৎ ধারণ করে রয়েছে। তারপর বুদ্ধিমান পুরুষ একাগ্রচিত্তে দেবীর স্তব করবে। তারপর কৃতাঞ্জলি হয়ে পূর্বোক্ত তিন চরিত্রসমূহ দ্বারা স্তব করবে। কেউ যদি একটি চরিত্র দিয়ে স্তব করতে চায়, তবে কেবলমাত্র মধ্যমচরিত্রের দ্বারা পাঠ করে নেবে। কিন্তু প্রথম আর উত্তর চরিত্র দিয়ে কেবলমাত্র একবার পাঠ করবে না। অর্দ্ধেক চরিত্রের পাঠ করাও নিষিদ্ধ। যে অর্দ্ধেক চরিত্রের পাঠ করে, তার পাঠ নিষ্ফল হয়। পাঠ শেষে প্রদক্ষিণ ও নমস্কার করবে এবং নিরলস হয়ে জগদম্বার উদ্দেশ্যে মস্তকে কৃতাঞ্জলি হয়ে বারংবার ত্রুটি বা অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে। সপ্তশতীর প্রতিটি শ্লোক মন্ত্রস্বরূপ, তিলযুক্ত ঘৃত ও পায়েস দিয়ে হোম করবে। ২৭-৩৪ ।।
জুহুয়াৎ স্তোত্রমন্ত্রৈর্বা চণ্ডিকায়ৈ শুভং হবিঃ। ভূয়ো নামপদৈর্দেবীং পূজয়েৎ সুসমাহিতঃ ৷৷ ৩৫ ৷৷
অথবা সপ্তশতীতে যে স্তোত্রগুলি আছে সেই মন্ত্রগুলি দিয়ে চণ্ডিকার উদ্দেশ্যে পবিত্র হবি দিয়ে হোম করবে। যজ্ঞের পরে একাগ্রচিত্ত হয়ে মহালক্ষ্মী দেবীর নামমন্ত্র উচ্চারণ করে আবার তাঁর পূজা করবে।। ৩৫ ।।
প্রযতঃ প্রাঞ্জলিঃ প্রহৃঃ প্রণম্যারোপ্য চাত্মনি। সুচিরং ভাবয়েদীশাং চণ্ডিকাং তন্ময়ো ভবেৎ৷৷ ৩৬ ৷৷
নিজের মন ও ইন্দ্রিয়কে বশীভূত রেখে কৃতাঞ্জলি হয়ে বিনীতভাবে দেবীকে প্রণাম করে হৃদয়ে স্থাপিত করে দীর্ঘকাল চণ্ডিকাদেবীর ভাবনা করতে করতে তন্ময় হবে ।। ৩৬ ।।
এবং যঃ পূজয়েদ্ ভক্ত্যা প্রত্যহং পরমেশ্বরীম্।ভুত্ত্বা ভোগান্ যথাকামং দেবীসাযুজ্যমাপুয়াৎ৷৷ ৩৭ ৷৷
এইভাবে যে প্রতিদিন ভক্তিপূর্বক পরমেশ্বরীর পূজা করে, সে বাঞ্ছিত বস্তু ভোগ করে অন্তকালে দেবীর সাযুজ্য প্রাপ্ত হয়। ৩৭ ॥
যো ন পূজয়তে নিত্যং চণ্ডিকাং ভক্তবৎসলাম্। ভস্মীকৃত্যাস্য পুণ্যানি নির্দহেৎ পরমেশ্বরী। ৩৮ ৷৷
ভক্তবৎসলা চণ্ডীর পূজা প্রতিদিন যে না করে ভগবতী পরমেশ্বরী তার পুণ্য ভস্মীভূত করেন। ৩৮ ।
তস্মাৎ পূজয় ভূপাল সর্বলোকমহেশ্বরীম্। যথোক্তেন বিধানেন চণ্ডিকাং সুখমান্স্যাসি৷৷ ৩৯ ৷৷
এইজন্য হে রাজন! যথোক্তবিধানে সর্বলোকমহেশ্বরী চণ্ডিকার পূজা করবে। তাহলে ইহলোকে ও পরলোকে সুখ প্রাপ্ত হবে(১) ।। ৩৯ ৷৷