Durga Saptashati Image

অথ দ্বিতীয়োহধ্যায়ঃ

দ্বিতীয় অধ্যায়

দেবতাদের পুঞ্জীভূত তেজে দেবীর আবির্ভাব এবং মহিষাসুরের সৈন্য বধ

বিনিয়োগঃ

ওঁ মধ্যমচরিত্রস্য বিষ্ণুঋষিঃ, মহালক্ষ্মীদেবতা, উষ্ণিক্ হন্দঃ, শাকঙ্করী শক্তিঃ, দুর্গা বীজম্, বায়ুস্তত্বম্, যজুর্বেদঃ স্বরূপম্, শ্রীমহালক্ষ্মীপ্রীত্যর্থঃ মধ্যমচরিত্রজপে বিনিয়োগঃ।

ওঁ মধ্যম চরিত্রের ঋষি বিষ্ণু, দেবতা মহালক্ষ্মী, ছন্দ উষ্ণিক্, শক্তি শাকম্ভরী, বীজ দুর্গা, তত্ত্ব বায়ু এবং স্বরূপ যজুর্বেদ। শ্রীমহালক্ষ্মীর প্রসন্নতালাভের উদ্দেশ্যে মধ্যম চরিত্রের পাঠের বিনিয়োগ করা হয়।

ধ্যানম্ ওঁ অক্ষস্রক্সরশুং গদেষুকুলিশং পদ্মং ধনুঙ্কুণ্ডিকাং দণ্ডং শক্তিমসিঞ্চ চর্ম জলজং ঘণ্টাং সুরাভাজনম্। শূলং পাশসুদর্শনে চ দধতীং হস্তৈঃ প্রসন্নাননাং সেবে সৈরিভমর্দিনীমিহ মহালক্ষ্মীং সরোজম্বিতাম্।।

কমলাসনে অধিষ্ঠিতা, প্রসন্নাননা যিনি, যাঁর হাতে রুদ্রাক্ষের জপমালা, কুঠার, গদা, বাণ, বস্ত্র, পদ্ম, ধনু, কমণ্ডলু, দণ্ড, শক্তি, খড়া, ঢাল, শঙ্খ, ঘন্টা, সুরাপাত্র, শূল, পাশ এবং সুদর্শনচক্র ধারণ করা আছে, সেই মহিষাসুরমর্দিনী ভগবতী মহালক্ষ্মীর ধ্যান করি।

'ওঁ হ্রীং' খঋষিরুবাচ ৷৷ ১ ৷৷

মেধা ঋষি বললেন-৷৷ ১ ৷৷

দেবাসুরমভূদ্ যুদ্ধং পূর্ণমব্দশতং পুরা। মহিষেহসুরাণামধিপ দেবানাঞ্চ পুরন্দরে। ২ ৷৷

তত্রাসুরৈমহাবীর্যের্দেবসৈন্যং পরাজিতম্। জিত্বা চ সকলান্ দেবানিন্দ্রোহভূন্মহিষাসুরঃ।। ৩ ৷৷

পূর্বকালে পূর্ণ একশ বছর ধরে দেবতা ও অসুরদের ঘোর যুদ্ধ হয়েছিল। সেই যুদ্ধে অসুরদের রাজা মহিষাসুর আর দেবতাদের অধীশ্বর ছিলেন ইন্দ্র। ওই যুদ্ধে মহাবীর অসুরদের হাতে দেবতারা পরাজিত হন। দেবতাদের পরাভূত করে মহিষাসুর স্বর্গের অধিপতি হয়ে বসলেন।। ২-৩ ।।

ততঃ পরাজিতা দেবাঃ পদ্মযোনিং প্রজাপতিম্। পুরষ্কৃত্য গতাস্তত্র যত্রেশগরুড়ধ্বজৌ।। 8 ॥

পরাজিত দেবতারা তখন প্রজাপতি ব্রহ্মাকে অগ্রবর্তী করে ভগবান শিব ও বিষ্ণুর সমীপে গমন করলেন।। ৪ ।।

যথাবৃত্তং তয়োস্তদ্বন্মহিষাসুরচেষ্টিতম্। কথয়ামাসুদেবাভিভববিস্তরম্।। ৫ ৷৷

মহিষাসুরের পরাক্রম এবং নিজেদের পরাজয়ের কাহিনী সবিস্তারে তাঁরা বিষ্ণু ও শিবের কাছে বর্ণনা করলেন।। ৫ ।।

ত্রিদশাঃ সূর্যেন্দ্রাগ্যনিলেন্দুনাং যমস্য বরুণস্য চ। অন্যেষাঞ্চাধিকারান্ স স্বয়মেবাধিতিষ্ঠতি৷৷ ৬৷৷

তাঁরা বললেন- 'হে ভগবন্! সূর্য, ইন্দ্র, অগ্নি, বায়ু, চন্দ্র, যম, বরুণ ও অন্যান্য দেবতাদের অধিকার হরণ করে মহিষাসুর নিজেই সব অধিকার করে বসেছে'।। ৬ ৷৷

স্বর্গান্নিরাকৃতাঃ সর্বে তেন দেবগণা ভুবি। বিচরন্তি যথা মর্ত্যা মহিষেণ দুরাত্মনা৷৷ ৭ ॥

সেই দুরাত্মা মহিষাসুর সব দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতাড়িত করে দিয়েছে। সেই সব দেবতারা এখন মানুষদের মতো পৃথিবীতে বিচরণ করছেন ।। ৭ ।।

এতদ্ বঃ কথিতং সর্বমমরারিবিচেষ্টিতম্। শরণং বঃ প্রপন্নাঃ স্মো বধস্তস্য বিচিন্ত্যতাম্। ৮ ৷৷

অসুরদের দৌরাত্ম্যের সব কথাই আমরা আপনাদের জানালাম। আমরা এখন আপনাদের শরণাপন্ন হলাম। আপনারা এই মহিষাসুরের বধের কোনও ব্যবস্থা করুন। ৮ ।।

ইত্থং নিশম্য দেবানাং বচাংসি মধুসূদনঃ। চকার কোপং শম্ভুশ্চ ভ্রুকুটীকুটিলাননৌ৷ ৯৷

দেবতাদের কাছে এই সব শুনে মধুসূদন ও মহাদেব অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হলেন। তাঁদের ভ্রুকুটিভঙ্গে তাঁদের মুখ ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করল ।। ৯।।

ততোহতিকোপপূর্ণস্য চক্রিণো বদনাৎ ততঃ। নিশ্চক্রাম মহৎ তেজো ব্রহ্মণঃ শঙ্করস্য চ৷ ১০৷

অন্যেষাঞ্চৈব দেবানাং শত্রুাদীনাং শরীরতঃ। নির্গতং সুমহৎ তেজস্তচ্চৈক্যং সমগচ্ছত।।১১৷৷

তখন অত্যন্ত ক্রোধান্বিত চক্রপাণি শ্রীবিষ্ণুর বদন থেকে এক মহাতেজ নির্গত হল। সাথে সাথে ব্রহ্মা, শিব, তথা ইন্দ্রাদি অন্যান্য দেবতাদের শরীর থেকেও সুবিপুল তেজ নির্গত হল। এই সমস্ত মিলে একত্র হয়ে গেল। ১০-১১ ।।

অতীব তেজসঃ কূটং জ্বলন্তমিব পর্বতম্। দদৃশুন্তে সুরাস্তত্র জ্বালাব্যাপ্তদিগন্তরম্। ১২ ৷৷

মহা মহা তেজের সেই পুঞ্জীভূত রাশি এক জ্বলন্ত পর্বতের মত দেখা যেতে লাগল। দেবতারা দেখলেন, সেই সুদীপ্ত তেজঃপুঞ্জ দশদিক ব্যাপ্ত করে রয়েছে । ১২ ।।

অতুলং তত্র তত্তেজঃ সর্বদেবশরীরজম্। একছং তদভূন্নারী ব্যাগুলোকত্রয়ং ত্বিষা।১৩ ৷৷

সকল দেবতাদের শরীর থেকে নিঃসৃত সেই তেজের কোন তুলনাই হয় না। একত্র হয়ে সেই তেজ একটা নারী মূর্তি ধারণ করল এবং আপন তেজে ত্রিলোক ব্যাপ্ত করে রাখল। ১৩ ৷৷

যদভূচ্ছাম্ভবং তেজন্তেনাজায়ত তন্মুখম্। যাম্যেন চাভবন্ কেশা বাহবো বিষ্ণুতেজসা।।১৪৷৷

শম্ভুর তেজে সেই নারীমূর্তির মুখ তৈরী হল, যমের তেজে তৈরী হল মাথার চুল। বিষ্ণুর তেজে তৈরী হল তাঁর বাহুসকল। ১৪ ৷৷

সৌম্যেন স্তনয়োযুগ্মং মধ্যং চৈন্দ্রেণ চাভবৎ। বারুণেন চ জঙ্ঘোর নিতম্বস্তেজসা ভুবঃ৷৷ ১৫ ৷৷

চন্দ্রতেজে তাঁর স্তনযুগল আর ইন্দ্রের তেজে শরীরের মধ্যভাগ, বরুণের তেজে জঙ্ঘা ও উরুদ্বয় এবং পৃথিবীর তেজে তাঁর নিতম্ব উদ্ভূত হল ৷৷ ১৫ ৷৷

ব্রহ্মণস্তেজসা পাদৌ তদঙ্গুল্যোহর্কতেজসা। বসূনাঞ্চ করাঙ্গুল্যঃ কৌবেরেণ চ নাসিকা।১৬৷৷

ব্রহ্মার তেজে পদযুগল, সূর্যের তেজে পদযুগলের অঙ্গুলিসকল, অষ্টবসুর তেজে হাতের সকল আঙ্গুল এবং কুবেরের তেজে তাঁর নাসিকা উৎপন্ন হল ।। ১৬ ৷৷

তস্যাস্ত দস্তাঃ সম্ভূতাঃ প্রাজাপত্যেন তেজসা। নয়নত্রিতয়ং জজ্ঞে তথা পাবকতেজসা৷৷ ১৭ ৷৷

প্রজাপতিগণের তেজে দন্তপাটি এবং অগ্নির তেজে তিনটা চক্ষু উৎপন্ন হল । ১৭ ।।

ফ্রবৌ চ সন্ধ্যয়োস্তেজঃ শ্রবণাবনিলস্য চ। অন্যেষাঞ্চৈব দেবানাং সম্ভবস্তেজসাং শিবা৷৷ ১৮৷৷

সন্ধ্যাদেবীর তেজে তাঁর ভ্রূযুগল এবং বায়ুর তেজে কান দুটী এবং এইরকম অন্যান্য দেবতাগণের তেজঃপুঞ্জ থেকেও সেই মঙ্গলময়ী দেবীর আবির্ভাব হল। ১৮ ॥

ততঃ সমস্তদেবানাং তেজোরাশিসমুদ্ভবাম্। তাং বিলোক্য মুদং প্রাপুরমরা মহিষাদিতাঃ ।১৯ ৷৷

তারপর সমস্ত দেবতাদের তেজরাশিসম্ভূতা দেবীকে দেখে মহিষাসুরপীড়িত দেবতারা আনন্দিত হলেন ৷৷ ১৯ ।।

শূলং শূলাদ বিনিষ্য দদৌ তস্যৈ পিনাকধূক্। চক্রঞ্চ দত্তবান্ কৃষ্ণঃ সমুৎপাদ্য(১) স্বচক্রতঃ৷৷ ২০॥

ত্রিশূলধারী ভগবান শঙ্কর তাঁর শূল থেকে শূলান্তর এবং ভগবান বিষ্ণু চক্র থেকে চক্রান্তর উৎপাদন করে ভগবতীকে দিলেন ৷৷ ২০ ৷৷

শঙ্খঞ্চ বরুণঃ শক্তিং দদৌ তস্যৈ হুতাশনঃ। মারুতো দত্তবাংশ্চাপং বাণপূর্ণে তথেষুষী। ২১ ৷৷

রুণদেব দিলেন শঙ্খ, অগ্নি দিলেন শক্তি, পবনদেব একটা ধনু ও বাণদ্বারা পূর্ণ দুটী তৃণ দিলেন ৷৷ ২১ ॥

বজ্রমিন্দ্রঃ সমুৎপাদ্য(২) কুলিশাদমরাধিপঃ। দদৌ তস্যৈ সহস্রাক্ষো ঘণ্টামৈরাবতাদ্ গজাৎ৷৷ ২২ ৷৷

বসহস্রনয়ন দেবরাজ ইন্দ্র নিজের বজ্র থেকে বজ্রান্তর এবং ঐরাবত হাতীর গলার থেকে একটা ঘণ্টাও দিলেন। ২২ ৷৷

কালদণ্ডাদ্ যমো দণ্ডং পাশঞ্চাম্বুপতির্দদৌ। প্রজাপতিশ্চাক্ষমালাং দদৌ ব্রহ্মা কমণ্ডলুম্৷ ২৩৷৷

যমরাজ কালদণ্ড থেকে দণ্ডান্তর, জলদেবতা বরুণ নিজের পাশ থেকে একটা পাশ, প্রজাপতি রুদ্রাক্ষের মালা এবং ব্রহ্মা দেবীকে কমণ্ডলু দিলেন। ২৩ ৷৷

সমস্তরোমকূপেষু নিজরক্ষ্মীন্ দিবাকরঃ। কালশ্চ দত্তবান্ খড়গং তস্যাশ্চর্ম চ নির্মলম্৷ ২৪ ৷৷

সূর্যদেব দেবীর সমস্ত রোমকূপে নিজের রশ্মিজাল ভরে দিলেন। কাল অর্থাৎ মৃত্যুদেবতা একটী প্রদীপ্ত ঢাল এবং উজ্জ্বল তরোয়াল দিলেন ৷৷ ২৪ ৷৷

ক্ষীরোদশ্চামলং হারমজরে চ তথাম্বরে। চূড়ামণিং তথা দিব্যং কুণ্ডলে কটকানি চ৷৷ ২৫৷৷

অর্ধচন্দ্রং তথা শুভ্রং কেয়ূরান্ সর্ববাহুযু। নূপুরৌ বিমলৌ তদ্বদ্ গ্রৈবেয়কমনুত্তমম্।। ২৬৷৷

অঙ্গুরীয়করত্নানি সমস্তাস্বঙ্গুলীযু চ। বিশ্বকর্মা দদৌ তস্যৈ পরশুঞ্চাতিনির্মলম্ ॥ ২৭ ৷৷

ক্ষীরসমুদ্র দিলেন উজ্জ্বল হার ও চিরনূতন দিব্য বস্ত্রের সঙ্গে দিব্য চূড়ামণি, দুটী কুন্তল, হাতের বালা, ললাটভূষণ উজ্জ্বল অর্দ্ধচন্দ্র, সকল বাহুর জন্য কেয়ূর, দুই চরণের জন্য নির্মল নূপুর, অতি উত্তম কণ্ঠাভরণ, এবং সব আঙ্গুলের জন্য রত্নাঙ্গুরী। দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা দিলেন অতি নির্মল ধারাল কুঠার। ২৫-২৭ ৷৷

অস্ত্রাণ্যনেকরূপাণি তথাভেদ্যঞ্চ দংশনম্। অম্লানপঙ্কজাং মালাং শিরস্যুরসি চাপরাম্৷ ২৮ ৷৷

এর সাথে নানাপ্রকার অস্ত্রশস্ত্র এবং অভেদ্য কবচও দিলেন। এছাড়া মস্তক এবং বক্ষঃস্থলে ধারণ করার জন্য অম্লান পদ্মের মালা দিলেন ॥ ২৮ ৷৷

অদদজ্জলধিস্তস্যৈ পঙ্কজঞ্চাতিশোভনম্। হিমবান্ বাহনং সিংহং রত্নানি বিবিধানি চ৷৷ ২৯ ৷৷

সমুদ্র তাঁর হাতে একটা অতি সুন্দর পদ্মফুল দিলেন। বাহনস্বরূপ সিংহ ও বিবিধ রত্ন দিলেন পর্বতাধিপতি হিমালয়।। ২৯ ।

দদাবশূন্যং সুরয়া পানপাত্রং ধনাধিপঃ। শেষশ্চ সর্বনাগেশো মহামণিবিভূষিতম্।। ৩০ ॥

ধনাধ্যক্ষ কুবের একটী মধুপূর্ণ পানপাত্র এবং নাগাধিপতি বাসুকি-যিনি এই পৃথিবীকে ধারণ করে আছেন দেবীকে বহুমূল্য রত্নে বিভূষিত নাগহার দিলেন। এইভাবে অন্যান্য দেবগণও অলঙ্কার ও অস্ত্রশস্ত্রাদি দিয়ে দেবীকে সম্মানিত করলেন। এই সমস্ত জিনিষে সজ্জিতা

নাগহারং দদৌ তস্যৈ ধত্তে যঃ পৃথিবীমিমাম্। অন্যৈরপি সুরৈদেবী ভূষণৈরায়ুধৈস্তথা।৷৷ ৩১ ৷৷

সম্মানিতা ননাদোচ্চৈঃ সাট্টহাসং মুহুর্মুহুঃ। তস্যা নাদেন ঘোরেণ কৃৎস্নমাপূরিতং নভঃ৷৷ ৩২ ৷৷

হয়ে দেবী বারংবার অট্টহাস্যে হুঙ্কার করতে লাগলেন। সেই মহান ঘোর গর্জনে সমগ্র আকাশ গুঞ্জিত হল । ৩১-৩২ ।।

অমায়তাতিমহতা প্রতিশব্দো মহানভূৎ। চুক্ষুভুঃ সকলা লোকাঃ সমুদ্রাশ্চ চকম্পিরে৷৷ ৩৩ ৷৷

দেবীর সেই সিংহনাদের ভয়ানক প্রতিধ্বনি উঠল, চতুর্দশ ভুবন সংক্ষুব্ধ, সপ্ত সমুদ্র প্রকম্পিত হতে থাকল৷৷ ৩৩ ৷৷

চচাল বসুধা চেলুঃ সকলাশ্চ মহীধরাঃ। জয়েতি দেবাশ্চ মুদা তামুচুঃ সিংহবাহিনীম্৷৷। ৩৪ ॥

পৃথিবী বিচলিত হল আর পর্বতসমূহ দুলতে লাগল। তখন দেবতারা অসীম আনন্দে সিংহবাহিনী ভবানীর জয়ধ্বনি দিয়ে বললেন- দেবি! তোমার জয় হোক ।। ৩৪ ॥

তুষ্টুবুর্মুনয়শ্চৈনাং ভক্তিনস্রাত্মমূর্তয়ঃ। দৃষ্ট্রা সমস্তং সংক্ষুব্ধং ত্রৈলোক্যমমরারয়ঃ ৷৷ ৩৫ ৷৷

সন্নদ্ধাখিলসৈন্যাস্তে সমুত্তঙ্গুরুদায়ুধাঃ। আঃ কিমেতদিতি ক্রোধাদাভাষ্য মহিষাসুরঃ।। ৩৬ ॥

অভ্যধাবত তং শব্দমশেষৈরসুরৈবৃতঃ। স দদর্শ ততো দেবীং ব্যাপ্তলোকত্রয়াং ত্বিষা৷৷ ৩৭ ৷৷

মুনিগণ ভক্তিভরে বিনম্রভাবে দেবীকে স্তব করতে লাগলেন। সমস্ত ত্রিলোকবাসীকে সন্ত্রস্ত দেখে অসুররা নিজেদের সমস্ত সৈন্যদের সুসজ্জিত করে অস্ত্র-শস্ত্রাদি উদ্যত করে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হল। মহিষাসুর তখন ক্রোধে সেখানে এসে বলল-'আঃ! এ সব কী!' এই কথা বলে সব অসুরদের নিয়ে সে সেই সিংহনাদের দিকে ধাবিত হল এবং সেখানে গিয়ে সেই দেবীকে দেখতে পেল যিনি নিজ অঙ্গজ্যোতিতে ত্রিভুবন আলোকিত করে রয়েছেন । ৩৫-৩৭ ॥

পাদাক্রান্ত্যা নতডুবং কিরীটোল্লিখিতাম্বরাম্। ক্ষোভিতাশেষপাতালাং ধনুর্জানিঃ স্বনেন তাম্৷৷ ৩৮ ৷৷

তাঁর পদভারে পৃথিবী নত হয়ে পড়েছে। তাঁর মাথার মুকুট আকাশে রেখা টানার ন্যায় স্পর্শ করেছে এবং তাঁর ধনুকের টঙ্কার পাতাল পর্যন্ত সাত নিম্নলোক আকুলিত করছে।। ৩৮৷৷

দিশো ভুজসহস্রেণ সমন্তাদ্দ ব্যাপ্য সংস্থিতাম্। ততঃ প্রববৃতে যুদ্ধং তয়া দেব্যা সুরদ্বিষাম্৷ ৩৯ ৷৷

তাঁর সহস্র বাহুতে দশদিক আচ্ছাদিত করে তিনি দাঁড়িয়ে আছেন। তখন অসুরদের সাথে দেবীর যুদ্ধ আরম্ভ হল।। ৩৯ ।।

শস্ত্রাস্ত্রৈর্বহুধা মুক্তৈরাদীপিতদিগন্তরম্। মহিষাসুরসেনানীশ্চিক্ষুরাখ্যো মহাসুরঃ।। ৪০ ।।

নানারকম নিক্ষিপ্ত অস্ত্রশস্ত্রের দীপ্তিতে দশদিক উদ্ভাসিত হতে লাগল। মহিষাসুরের সেনাপতির নাম মহাসুর চিক্ষুর। ৪০ ।।

যুযুধে চামরশ্চান্যৈশ্চতুরঙ্গবলাম্বিতঃ। রথানামযুতৈঃ ষড়ভিরুদগ্রাখ্যো মহাসুরঃ। ৪১ ৷৷

সে দেবীর সাথে যুদ্ধ করতে লাগল। চতুরঙ্গিণী বাহিনী পরিবেষ্টিত চামর অন্য অসুরগণকে সঙ্গে নিয়ে যুদ্ধ আরম্ভ করল। ষাট হাজার রথীদের সঙ্গে নিয়ে উদগ্র নামে মহাসুর যুদ্ধ আরম্ভ করল।। ৪১ ৷

অযুধ্যতাযুতানাঞ্চ সহস্রেণ মহাহনুঃ। পঞ্চাশক্তিশ্চ নিযুতৈরসিলোমা মহাসুরঃ।। ৪২ ৷৷

এক কোটি রথী নিয়ে মহাহনু অসুর যুদ্ধ করতে এল। অসিলোমা নামে মহাসুর, যার গায়ের রোমসমূহ অসির মত তীক্ষ্ণ ছিল, পাঁচ কোটি রথী নিয়ে যুদ্ধ আরম্ভ করল।। ৪২ ।।

অযুতানাং শতৈঃ ষড়ভির্বাঙ্গলো যুযুধে রণে। অবাজিসহস্রেীঘৈরনেকৈঃ১) পরিবারিতঃ।।৪৩।

বৃতো রথানাং কোট্যা চ যুদ্ধে তস্মিন্নযুধ্যত। বিড়ালাখ্যোহযুতানাঞ্চ পঞ্চাশন্তিরথাযুতৈঃ৷৷ ৪৪ ৷৷

যুযুখে সংযুগে তত্র রথানাং পরিবারিতঃ। অন্যে চ তত্রাযুতশো রথনাগহয়ৈবৃতাঃ৷৷ ৪৫ ৷৷

যুযুধুঃ সংযুগে দেব্যা সহ তত্র মহাসুরাঃ। কোটিকোটিসহস্রৈস্তু রথানাং দন্তিনাং তথা৷৷ ৪৬৷৷

হয়ানাঞ্চ বৃতো যুদ্ধে তত্রাভূন্মহিষাসুরঃ। তোমরৈর্ভিন্দিপালৈশ শক্তিভিমুসলৈস্তথা। ৪৭ ॥

যুযুধুঃ সংযুগে দেব্যা খড়ৈাঃ পরশুপট্টিশৈঃ। কেচিচ্চ চিক্ষিপুঃ শক্তীঃ কেচিৎ পাশাংস্তথাপরে৷৷ ৪৮৷৷

ষাট লাখ রথী নিয়ে বাস্কলাসুর রণক্ষেত্রে যুদ্ধ করতে লাগল। পরিবারিত নামে এক মহাসুর বহু সহস্র হাতী ও অশ্বারোহীর সঙ্গে এক কোটি রথীকে নিয়ে যুদ্ধ করতে লাগল। বিড়াল নামে মহাসুর পাঁচ অর্বুদ রথীদের নিয়ে যুদ্ধ আরম্ভ করল। এরা ছাড়াও অন্যান্য বহুসংখ্যক মহাসুরগণ রথ, হাতী, ঘোড়া, সৈন্যসামন্ত নিয়ে দেবীর সাথে যুদ্ধ করতে লাগল। স্বয়ং মহিষাসুর সেই যুদ্ধে কোটি কোটি সহস্র রথ, হাতী ও অশ্বারোহী সেনাদের নিয়ে যুদ্ধ আরম্ভ করল। সেই সব মহাসুরেরা তোমর (শাবল), ভিন্দিপাল, শক্তি, মুষল, খড়া, পরশু (কুঠার) এবং পট্টিশ প্রভৃতি অস্ত্রসমূহ দ্বারা দেবীর সাথে যুদ্ধ করতে লাগল। কিছু সংখ্যক অসুর আবার শক্তি, কেউ কেউ পাশ দেবীর ওপর নিক্ষেপ করল।। ৪৩-৪৮ ।।

দেবীং খড়াপ্রহারৈস্তু তে তাং হন্ত্রং প্রচক্রমুঃ। সাপি দেবী ততস্তানি শস্ত্রাণ্যস্ত্রাণি চণ্ডিকা। ৪৯ ৷৷

লীলয়ৈব প্রচিচ্ছেদ নিজশস্ত্রাস্ত্রবর্ষিণী। অনায়স্তাননা দেবী সূয়মানা সুরর্ষিভিঃ ॥ ৫০ ৷

মুমোচাসুরদেহেষু শস্ত্রাণ্যস্ত্রাণি চেশ্বরী। সোহপি ক্রুদ্ধো ধৃতসটো দেব্যা বাহনকেশরী৷৷ ৫১ ৷৷

চচারাসুরসৈন্যেষু বনেম্বিব হুতাশনঃ। নিঃশ্বাসাম্মুমুচে যাংশ্চ যুধ্যমানা রণেহম্বিকা। ৫২ ৷৷

ত এব সদ্যঃ সম্ভূতা গণাঃ শতসহস্রশঃ। যুযুধুস্তে পরশুভির্ভিন্দিপালাসিপট্টিশৈঃ ৷৷ ৫৩ ৷৷

কেউ কেউ বা খড়গের আঘাতে দেবীকে বধ করবার চেষ্টা করল। দেবীও অনায়াসেই নিজের অস্ত্র-শস্ত্র বর্ষণ করে অসুরদের সেই সব অস্ত্র-শস্ত্রকে ছেদন করলেন। তাঁর মুখের ওপর পরিশ্রম বা ক্লান্তির কোনও চিহ্নমাত্রও দেখা গেল না, দেবতা ও ঋষিগণ তাঁকে স্তুতি করতে থাকলে ভগবতী পরমেশ্বরী অসুরদের শরীরে অস্ত্রশস্ত্রাদি নিক্ষেপ করতে লাগলেন। দেবীর বাহন সিংহও ক্রোধে কেশর ফুলিয়ে অসুরসৈন্যের মধ্যে দাবানলের মত বিচরণ করতে লাগলেন। রণক্ষেত্রে যুদ্ধ করতে করতে অগ্নিকাদেবী যত নিঃশ্বাস ফেললেন, সেই সব নিঃশ্বাস হতে তৎক্ষণাৎ শত শত সহস্র সহস্র দেবীর গণ অর্থাৎ দেবীর সৈন্যরূপে উৎপন্ন হলেন এবং পরশু, ভিন্দিপাল, খড়া তথা পট্টিশাদি অস্ত্রদ্বারা অসুরদের বধ করতে লাগলেন।। ৪৯-৫৩ ৷৷

নাশয়ন্তোহ সুরগণান্ দেবীশ্যুপবৃংহিতাঃ। অবাদয়ন্ত পটহান্ গণাঃ শঙ্খাংস্তথাপরে৷৷ ৫৪৷৷

দেবীর শক্তিতে শক্তিমান হয়ে সেই দেবীসৈন্যেরা নাগাড়া ও শঙ্খ ইত্যাদি বাজাতে বাজাতে অসুরসেনা ধ্বংস করতে লাগলেন। ৫৪ ৷৷

মৃদঙ্গাংশ্চ তথৈবান্যে তস্মিন্ যুদ্ধমহোৎসবে। ততো দেবী ত্রিশূলেন গদয়া শক্তিবৃষ্টিভিঃ ৷৷ ৫৫ ৷৷

খড়ঙ্গাদিভিশ্চ শতশো নিজঘান মহাসুরান্। পাতয়ামাস চৈবান্যান্ ঘণ্টাস্বনবিমোহিতান্৷৷ ৫৬ ৷৷

সেই যুদ্ধমহোৎসবে দেবীসৈন্যরা মৃদঙ্গ বাজাচ্ছিলেন। অতঃপর দেবী নিজে ত্রিশূল, গদা, শক্তি অস্ত্র বর্ষণ করে এবং খড়া ইত্যাদি দ্বারা শত শত মহাসুর বিনাশ করলেন। অপর কতকগুলি অসুরকে ঘন্টার ভয়ঙ্কর ধ্বনি দিয়ে বিমোহিত করে বধ করলেন। ৫৫-৫৬।

অসুরান্ ভুবি পাশেন বদ্ধা চান্যানকর্ষয়ৎ। কেচিদ্ দ্বিধাকৃতাস্তীক্ষ্ণৈঃ খড়াপাতৈস্তথাপরে।। ৫৭ ৷৷

আবার কতকগুলিকে পাশবদ্ধ করে ভূমিতে পাতিত করলেন। কত না অসুর তাঁর তীক্ষ্ণ তরোয়ালের আঘাতে দু টুকরো হয়ে প্রাণত্যাগ করল। ৫৭ ॥

বিপোথিতা নিপাতেন গদয়া ভুবি শেরতে। বেমুশ্চ কেচিদ্রুধিরং মুসলেন ভূশং হতাঃ৷৷ ৫৮ ৷৷

কেচিন্নিপাতিতা ভূমৌ ভিন্নাঃ শূলেন বক্ষসি। নিরন্তরাঃ শরৌঘেণ কৃতাঃ কেচিদ্রণাজিরে৷৷ ৫৯ ৷৷

কতকগুলি গদাঘাতে চূর্ণ হয়ে ভূতলে নিপাতিত হল। অনেকগুলো আবার মুষলাঘাতে আহত হয়ে রক্ত বমন শুরু করল। সেই যুদ্ধক্ষেত্রে কোনও কোনও অসুর সর্বাঙ্গে বাণবিদ্ধ হয়ে প্রাণত্যাগ করল। ৫৮-৫৯৷৷

শ্যেনানুকারিণঃ প্রাণান্ মুমুচুম্ব্রিদর্শাদনাঃ। কেষাঞ্চিদ্ বাহবচ্ছিন্নাস্থিন্নগ্রীবাস্তথাপরে৷৷ ৬০ ৷৷

শিরাংসি পেতুরন্যেষামন্যে মধ্যে বিদারিতাঃ। বিচ্ছিন্নজঙ্ঘাস্তুপরে পেতুরু্যাং মহাসুরাঃ ৷৷ ৬১ ৷৷

একবাহুক্ষিচরণাঃ কেচিদ্দেব্যা দ্বিধা কৃতাঃ। ছিন্নেহপি চান্যে শিরসি পতিতাঃ পুনরুত্থিতাঃ।।৬২ ৷৷

কবন্ধা যুযুধুদেব্যা গৃহীতপরমায়ুধাঃ। নতুশ্চাপরে তত্র যুদ্ধে তুর্যলয়াশ্রিতাঃ ।।৬৩ ॥

বাজপাখীর মতো ঝাপটাদেওয়া দেবশত্রু অসুরগণ নিজেদের প্রাণ দিয়ে নিজেদের ক্ষয় করতে লাগল। কারও কারও বাহুসকল ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গেল। কারোর ঘাড় ভেঙ্গে গেল। কারো কারো মস্তক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে লাগল। কারোর দেহের মধ্যভাগ বিদীর্ণ হয়ে গেল। কতগুলোর জঙ্ঘা ছিন্ন হয়ে মাটীতে লুটাতে লাগল। অনেককে দেবী এক বাহু, এক পা, আবার এক চক্ষু করে দ্বিখণ্ডিত করে মাটীতে লুটিয়ে দিলেন। কতকগুলি অসুরের মস্তক ছিন্ন হওয়া সত্ত্বেও মাটীতে পড়ে গিয়ে আবার উঠে দাঁড়াল এবং মস্তকহীন শরীরে ভাল ভাল অস্ত্র নিয়ে দেবীর সাথে যুদ্ধ করতে লাগল। অনেকগুলো কবন্ধ আবার যুদ্ধের বাজনার তালে তালে নৃত্য করতে লাগল।। ৬০-৬৩ ৷৷

কবন্ধাশ্ছিন্নশিরসঃ খাশ্যূষ্টিপাণয়ঃ। তিষ্ঠ তিষ্ঠেতি ভাষন্তো দেবীমন্যে মহাসুরাঃ ।। ৬৪ ৷৷

পাতিতৈ রথনাগাশ্বৈরসুরৈশ বসুন্ধরা।অগম্যা সাভবত্তত্র যত্রাভূৎ স মহারণঃ।। ৬৫ ৷৷

কিছু কিছু কবন্ধ খড়া, শক্তি ও ঋষ্টি হাতে নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে লাগল এবং অন্যান্য মহাসুরেরা 'দাঁড়াও দাঁড়াও' বলে দেবীকে যুদ্ধে আহ্বান করতে লাগল। যেখানে ওই বিশাল মহাযুদ্ধ হয়েছিল, সেখানকার পৃথিবীর জায়গাগুলি দেবীর দ্বারা পাতিত রথ, হাতী, ঘোড়া এবং অসুরদের মৃতদেহে এমন স্তূপীকৃত হয়েছিল যে, সে সব জায়গায় চলাফেরাও করা যাচ্ছিল না।। ৬৪-৬৫ ।।

শোণিতৌঘা মহানদ্যঃ সদ্যস্তত্র প্রসুস্ত্রবুঃ। মধ্যে চাসুরসৈন্যস্য বারণাসুরবাজিনাম্৷৷ ৬৬ ৷৷

অসুর সৈন্যদের হাতী, ঘোড়া এবং মৃতদেহের থেকে এতই রক্তপাত হয়েছিল যে অল্পক্ষণের মধ্যেই সেখানে বড় বড় রক্তনদী বইতে লাগল।। ৬৬ ৷৷

ক্ষণেন তন্মহাসৈন্যমসুরাণাং তথাম্বিকা। নিন্যে ক্ষয়ং যথা বহ্নিস্তূণদারুমহাচয়ম্।। ৬৭ ৷৷

আগুন যেমন তৃণ ও কাঠের বিশাল বিশাল স্তূপকে মুহূর্তের মধ্যেই ভস্মসাৎ করে দেয়, জগদম্বাও তেমনই ক্ষণকাল মধ্যে অসুরদের বিশাল সেনাকে বিনাশ করলেন। ৬৭ ।।

স চ সিংহো মহানাদমুৎসৃজন্ ধৃতকেশরঃ। শরীরেভ্যোহমরারীণামসূনিব বিচিন্বতি৷৷ ৬৮ ৷৷

আর সেই সিংহও কেশর ফুলিয়ে ফুলিয়ে ভীষণ গর্জন করতে করতে অসুরদের দেহ থেকে প্রাণ বের করে নিচ্ছিলেন।। ৬৮ ।।

দেব্যা গণৈশ্চ তৈস্তত্র কৃতং যুদ্ধং হাসুরৈঃ। যথৈষাং তুতুষুদেবাঃ পুষ্পবৃষ্টিমুচো দিবি৷৷ ওঁ ৷৷ ৬৯ ৷৷

যুদ্ধক্ষেত্রে দেবীর সৈন্যগণও সেই অসুরদের সাথে এমন ভীষণ যুদ্ধ করলেন যে আকাশ থেকে দেবতাগণ তাঁদের ওপর পুষ্পবৃষ্টি করে আনন্দ প্রকাশ করলেন। ৬৯ ৷৷

ইতি শ্রীমার্কণ্ডেয়পুরাণে সাবর্ণিকে মন্বন্তরে দেবীমাহাত্ম্যে মহিষায়ুরসৈন্যবধো নাম দ্বিতীয়োহধ্যায়ঃ। ২ ৷

এই অধ্যায়ে উবাচ-১, শ্লোক-৬৮, মোট-৬৯ আদি হতে সর্বমোট ১৭৩

শ্রীমার্কণ্ডেয়পুরাণে সাবর্ণিক মন্বন্তরে দেবীমাহাত্ম্য প্রসঙ্গে 'মহিষাসুরসৈন্য-বধ' নামক দ্বিতীয় অধ্যায় সম্পূর্ণ হল৷৷ ২৷৷